ইমোশনাল লাভ স্টোরি | ইমোশনাল গল্প

আজকের আপনাদের মাঝে বাস্তব একটা ইমোশনাল লাভ স্টোরি শেয়ার করবো আর এই গল্পটার নাম “অভিমানী তুমি” তাহলে চলুন ইমোশনাল লাভ স্টোরিটি পড়ে নেই।

ইমোশনাল লাভ স্টোরি

অভিমানী তুমি নেই বলে আজ দুপুর গুলো কেমন খা,খা মনে হয়,রাত গুলো কেমন দৃর্ঘশ্বাষে ভরে যায়।জীবটা আজ যেন কেমন একঘেয়েমি লাগে অথচ কতোই না রঙ্গিন ছিল সময়গুলি।খুব মনে পড়ছে আজ তোমায়। আচ্ছা এখনো কি আমাকে আগের মতো ভলোবাস,আগের মতো মিস করো?কেনই বা করবে, তুমি তো অভিমান করেছ।সেদিন এক কাক ডাকা ভোরে দেখা হয়েছিল তোমার সাথে।কোচিং এ আমার ১ম দিন,ফার্স্ট বেন্সে বসেছিলাম আমি, তুমিও আমার সোজাসুজি সাইডের বেন্সে বসেছিলে।এমনিতে আমি কম কথা বলি তারপর আবার ১ম দিন। সারাটা কোচিং টাইম কারোর সাথে কথা বলালাম না।কোচিং শেষ হতেই যেই বের হবো পিছন থেকে কে যেন ধাক্কা দিল আমি সামলাতে না পেরে পড়ে গেলাম শুধু তাই না আমার উপর এসে পড়লো একটা মেয়ে। তার পর ও তড়িঘড়ি করে উঠে সরি বললো আমিতো লজ্জায় একাটা কথাও বল্লাম না। ও আমার পরিচয় দেওয়া হলো না তো।আমি চয়ন, এবার নাইনে উঠেছি।

যাই হোক তার পরের দিন কোচিং এ গেলাম আজ ও আমি সেম বেন্সে সেও সেম। ও ফার্স্টে এসেই গড়গড় করে কথা বলতে লাগলো। ওর নাম বৃষ্টি ওর বাবা পুলিশে জব করে। ও আমার বন্ধু হতে চাই আমি ও রাজি হয়ে গেলাম তারপর বৃষ্টি আমার ফেসবুক আইডি নিল। কোচিং শেষে গল্প করতে করতে বের হলাম। ভালোই মনে হলো ওকে।তার পর স্কুল থেকে বাড়ি এসে এফবিতে গেলাম দেখি বৃষ্টি নামের আইডি থেকে একটা ফ্রেন্ডস রিকুয়েস্ট আসছে একসেপ্ট করেই ওকে হায় দিলাম।তার পর অনেক কথা হলো, পরেরদিন আবার ভোরে কোচিং তার পর স্কুল। এভাবেই কেটে যাচ্ছিল আমার দিন। ইদানিং বৃষ্টির সাথে একটু বেশিই কথা হচ্ছে।বৃষ্টি আমায় খুব কেয়ার করে আমি বুঝতে পারি, আমিও করি কিন্তুু ওর মতো পারি না।

ইমোশনাল লাভ স্টোরি

সারাদিন আমি কি করলাম কার সাথে কথা বল্লাম সব না শুনলে যেন ওর পটের ভাত হজম হয় না।বৃষ্টি ওই দিন খুব রাগ করলো যেদিন আমি ওর সাথে সাদিয়ার কথা বল্লাম সাদিয়া আমার স্কুলের ফ্রেন্ড।সাদিয়ার কথা শুনে ও আমার সোজা বলে দিল সে ছাড়া আমার কোন মেয়ে ফ্রেন্ড থাকতে পারবে না।আমিতো অবাক এ কেমন কথা। ও আমায় বললো কাল কোচিং যেন ৩০ মিনিট আগে আসি। আমার সাথে নাকি ওর অনেক কথা আছে। পরের দিন আমি ৩০ আগেই গেলাম তখন কোচিং এ কেউ আসেনি শুধু বৃষ্টি রুমের বারান্দায় দাড়াই আছে।আমি কাছে যেতেই দেখলাম ওর হাতে একটা গোলপ।আমি প্রথমে বুঝতে পরিনি পরে ও হঠাৎ করে বললো আচ্ছা চয়ন তুই আমায় কি ভাবিস? আমি বল্লাম এ কথা বলতে আমাকে ডাকছিস? তার পর ও বললো শোন আমি তোকে খুব ভালোবাসি খুব।

এখন তুই আমাকে ভালেবাসবি কি বল।আমি ত অবাক আমি সরাসরি ওকে বল্লাম দেখ আমরা খুব ভালে বন্ধু রিলেশনে যাওয়াটা আমার পক্ষে পসিবল না।শুনে ও কেদে ফেললো, ও আমার হাত ধরে রিকুয়েস্ট করলো কিন্তু আমি কোনোভাবেই রাজি হলাম না। পরে কোচিং শেষে ঐই দিন ওর সাথে আর কথা বল্লাম না, বাড়ি চলে আসলাম। পরে স্কুল থেকে এসে দেখি এক গাদা এস,এম,এস।ও আমায় অনেক ভালোবসে সেদিন ওকে অনেক বুঝালাম ও কিছুতেই বুঝলো না।
পরে রাগ করে ওকে বোলাক দিলাম, সেদিন বুঝিনি এটা আমার জিবনে কতটা প্রভাব ফেলবে।পরের দিন কোচিং এ গেলাম, বৃষ্টি কোচিং শেষে আমায় দাড়াতে বললো। আজ ওকে কেমন যেন অসহায়ের মতো লাগছে ও আমায় বললো আমি তোকে অনেক ডিসট্রাব করেছি তাই না রে,,,,যা আজ আমি কথা দিলাম আর জালাবো না তোকে তুই আজ মুক্ত। বলেই চলে গেল। সেদিন বুঝিনি ওর মুল্যটা।তার পর বাড়ি গেলাম ১ম,১ম তেমন মনে হতো না তার পর একদিক দেখি অনিকের সাথে রিকশায় একসাথে কোচিং এ আসছে। সেদিন কেন জানি একটা খারাপ লাগা অনুভব করলাম।

আস্তে,আস্তে ওকে প্রচন্ড মিস করতে থাকলাম আমি।পর একদিন কোচিং শেষে ডেকে সরি বল্লাম ওকে।ও কিছুই না বলে চলে গেল। তখন বুঝতে পারছিলাম ও আমাকে কতোটা ভালেবাসতো।তার পর স্কুল থেকে বাড়ি এসে ওকে আনবলাক করলাম। সারাদিন ওর জন্য ওয়েট করলাম ও এফ বি তে আসলো না।রাত ১০ টার দিকে ঘুমানের আগে ওকে একটিভ দেখলাম। সাথে, সাথে ওকে সরি বল্লাম।

আরো গল্প পড়ুনঃ অফিসের বস যখন বউ 

আর মনের কথাটাও ওক বলেদিলাম। অবাক হয়ে গেলাম সেই বৃষ্টি আর আগের মতো নেই।কয়েক দিন আগেও যে আমার জন্য পাগল ছিল আজ সে আমায় ঠাণ্ডা মাথায় ফিরিয়ে দিল।আজ প্রায় ৩ মাস হয়ে গেল ওর সাথে কথা হয় না।ও আমাকেএফ বি থেকে বোলাক দিছে, আমার সাথে যাতে দেখা না হয় তাই জন্য অন্য কোচিং এ ভর্তি হয়েছে।

ইমোশনাল লাভ স্টোরি দ্বিতীয় পর্ব পড়তে আমাদের সাথেই থাকুন অথবা ফলো করুন আমাদের গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।

Leave a Comment